টংগিবাড়ী উপজেলার সোনারং টংগিবাড়ী ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামে ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের প্রত্নতাত্তিক খননে আবিস্কৃত হয় মন্দির এবং স্তুপ স্থাপত্যের অংশবিশেষ।
২০১৫ সালে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে সংযুক্ত হয় চীনের সাংস্কৃতিক স্মারক ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ইউনান প্রাদেশিক ইন্সটিটিউট। প্রায় দুই মাস পরিচালিত প্রত্নতাত্তিক খননে নাটেশ্বরের দেউলে আবিস্কৃত হয় অষ্টোকোণাকৃতি স্তুপের অবশিষ্ট অসাধারন বাহু, কোণ এবং আভ্যন্তরীণ অষ্টোকোণাকৃতি স্তুপ, চ্যাম্বার, মন্ডপ প্রভৃতি। সদ্য আবিস্কৃত প্রায় ৪(চার) মিটার প্রসস্ত সীমানা প্রচীর বিশিষ্ট ২(দুই) জোড়া চর্তুস্তুপ বাংলাদেশের স্তুপের ইতিহাসে একটি অভিনব সংযোজন।আদ্রতা রোধক হিসেবে ভিত্তিদেয়ালে ঝামা ইটের ব্যবহার, চারটি স্তুপের স্থানিক পরিমিতি, বর্গাকৃতি ভারসাম্য, দেয়ালের অপ্রচলিত কাঠামো(নিচের তুলনায় উপরে অনেক প্রসস্ত) প্রভৃতি বাংলাদেশের স্থাপত্যের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে। প্রায় ১০০০ বছর প্রচীন ইট-নির্মিত দুটি রাস্তার আবিস্কার তৎকালীন রাস্তা নির্মান কৌশল, বসতি পরিকল্পনা ও বিন্যাসের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। দেউলের দক্ষিন-পূর্ব কোণে আবিস্কৃত হচ্ছে ইট নির্মিত ২.৭৫ মিটার প্রসস্ত আঁকা-বাঁকা একটি বিশেষ দেয়াল; এই মুহুর্তে যা একটি বিস্ময়কর স্থাপত্যের আভাস দিচ্ছে। নাটেশ্বরের প্রত্নস্থানে প্রায় ৭মিটার গভীরতায় ৫টি নির্মানযুগ বিক্রমপুর অঞ্চলে দীর্ঘ সময়ব্যাপী এক সমৃদ্ধ সভ্যতার সাক্ষ্য বহন করে। ধারাবাহিক গবেষনা এবং সম্ভাবনাপূর্ন আবিস্কার এই নির্মানযুগগুলোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস